আজ ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা
দিবস পালিত হলো। গাওয়া হলো লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত। খরচ করা হলো কোটি কোটি টাকা। অনুষ্ঠানে
যাবার সুযোগ না হলেও ঘরে বসে টিভির পর্দায় লাইভ অনুষ্ঠানটি দেখার সুযোগ হয়েছে। অনুষ্ঠান
দেখে মনে হলো গিনেস বুকে বিশ্ব রেকর্ড করার জন্য এই আয়োজন ছিল শুধুমাত্র বাঙালি জাতির
জন্যই। দেশের অন্যান্য জাতির জনগণ অনুষ্ঠানে বিভিন্নভাবে অংশ নিলেও তাদেরকে আজ আবারো
বাঙালি জাতিতে রূপান্তরিত করা হলো। যেমনটি করা হয়েছিল শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চে।
বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০১৪
মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০১৪
সরকারকে শুধু প্রশংসা করতে হবে কেন?
কিছুদিন আগে ঢাকায় এক
আলোচনা সভায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড.মিজানুর রহমান সরকারের
ব্যর্থতায় সংখ্যালঘু নির্যাতন বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সমালোচনা করায় সরকারের দুই
প্রভাবশালী মন্ত্রীর তোপের মুখে পড়েছেন। জাতীয় মানববাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান
হিসেবে তাঁর কি সরকারের সমালোচনা করার কোন অধিকার নেই?
দেশের একজন নাগরিক
হিসেবে সরকারের সমালোচনা করা, দোষত্রুটি তুলে ধরার অধিকার সবারই রয়েছে। কিন্তু
গণতন্ত্রের লেবাসধারী এদেশের সরকারের কর্তাব্যক্তিরা(প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে)
কিছুতেই সমালোচনা সহ্য করতে পারে না। কেউ সমালোচনা করলে তাকে নানাভাবে হেনস্থা করা
হয়ে থাকে। এটা কেন?
বুধবার, ১২ মার্চ, ২০১৪
সুদীর্ঘ চাকমার ১ম মৃত্যুবার্ষিকীতে কিছু কথা
আজ ১২ মার্চ ২০১৪ সাল।
গতবছর (২০১৩) এইদিনে জনসংহতি সমিতি(এমএন লারমা)-এর অন্যতম সংগঠক সুদীর্ঘ চাকমা লংগদু
এলাকায় সাংগঠনিক কাজ করতে গিয়ে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের
(এক সময়ের আন্দোলনের সহযাত্রী!) ব্রাশ ফায়ারে
৩জন সহযোদ্ধাসহ নির্মমভাবে নিহত হয়েছিলেন। আজ তাঁর এবং তাঁর সাথে নিহত সহযোদ্ধাদের
মৃত্যুর এক বছর পূর্ণ হল।
সোমবার, ১০ মার্চ, ২০১৪
পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্ণস্বায়ত্তশাসন দাবি উত্থাপনের দিন আজ
আজ ১০ মার্চ পার্বত্য চট্টগ্রামে
পূর্ণস্বায়ত্তশাসন দাবি উত্থাপনের দিন। ১৯৯৭ সালের এদিন পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন সংগঠন
পাহাড়ি গণ পরিষদ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের
সামনে এক সমাবেশের মাধ্যমে এই পূর্ণস্বায়ত্তশাসন দাবি উত্থাপন করে এবং একটি প্রচারপত্র
বিলি করে। যে সময় এই দাবি উত্থাপন করা হয় সে সময় পার্বত্য চট্টগামসহ দেশে-বিদেশে সর্বত্রই
পার্বত্য চুক্তিকে ঘিরে চলছিলো জোর প্রচার-প্রচারণা, রেডিও-টিভি, পত্র-পত্রিকা ছিল
সরব, পরিস্থিতি ছিল সম্পূর্ণ বৈরী ও প্রতিকূল। এ ধরনের পরিস্থিতিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের
ছাত্র-যুব সমাজের অগ্রণী অংশটি এই পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের দাবি উত্থাপনের মধ্যে দিয়ে জাতীয়
জীবনের সন্ধিক্ষণে পালন করে এক ঐতিহাসিক দায়িত্ব। এর ফলে অচিরেই শাসক চক্রের প্রতারণা
চুক্তি সম্পাদনকারী জেএসএসসহ সবার কাছে উন্মোচিত হয়।
রবিবার, ৯ মার্চ, ২০১৪
কুদৃষ্টির হাতে আর কত সুদৃষ্টির প্রাণ বলি হবে?
সুদৃষ্টি চাকমা(৩৫), পিতা-মৃত নিতাই চাকমা। এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক। তাঁর
স্ত্রীর নাম একি চাকমা। ছেলেটি বাবুছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীতে পড়ে। নাম
সুপার চাকমা(১৫)। আর মেয়েটি পড়ে বাবুছড়া আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২য়
শ্রেণীতে। তার নাম ওহেলী চাকমা(৭)। দিঘীনালার বাবুছড়া ইউনিয়নের মঘ্যা কার্বারী
পাড়ায় তার বাসা।
হয়তো প্রশ্ন জাগতে পারে কোন সেই সুদৃষ্টি চাকমা। বলছিলাম সেই সুদৃষ্টির
কথা, যে সুদৃষ্টি চাকমা আজ (৯ মার্চ) রবিবার সকালে দিঘীনালার বাবুছড়া রাস্তামাথায়
সন্তু লারমার লেলিয়ে দেয়া সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে নিহত হয়েছিলো।
শনিবার, ৮ মার্চ, ২০১৪
আন্তর্জাতিক নারী দিবস ও পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম্ম নারীদের নিরাপত্তা
আজ ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক
নারী দিবস। বিশ্বের দেশে দেশে নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করা হয়ে থাকে।
প্রত্যেক দেশের মতো আমাদের
বাংলাদেশেও প্রতি বছর এদিনটি পালিত হয়ে আসছে। এদিনটিতে নারী সংগঠনগুলো তৎপর
হয়ে ওঠে। সমাবেশ-মিছিল শোভাযাত্রা হয়। সরকারীভাবেও দিবসটি পালিত হয়। রাষ্ট্রের হোমরা
চোমরারা নারী অধিকার নিয়ে অনেক গালভরা বাক্য বিস্তার করেন। অনেক প্রতিশ্রুতি অঙ্গীকার
ব্যক্ত করা হয়। নারী অধিকার বিষয়ক সনদ, সিদ্ধান্ত, প্রস্তাব ও খসড়া আইন লিখতে দিস্তার
পর দিস্তা কাগজ খরচ হয়ে যায়। কিন্তু বাংলাদেশের নারী সমাজের ভাগ্যের তেমন একটা পরিবর্তন হয় না।
নারী নির্যাতন, নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ, নারীর অবমূল্যায়ন কমে না।
শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০১৪
মুখোশ বাহিনীর বিরুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল প্রতিরোধ বার্ষিকী ও শহীদ অমর বিকাশ দিবস আজ
আজ ৭ মার্চ সেনা সৃষ্ট মুখোশ বাহিনীর বিরুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল
প্রতিরোধ বার্ষিকী ও শহীদ অমর বিকাশ দিবস। ১৯৯৬ সালের এদিন খাগড়াছড়ির জনতা মুখোশ বাহিনীর
বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ সংগ্রাম গড়ে তুলে। এদিন মুখোশ বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে গিয়ে
সেনাবাহিনীর গুলিতে শহীদ হন অমর বিকাশ চাকমা। জনতার প্রতিরোধের মুখে পরবর্তী সময়ে সরকার
ও সেনাবাহিনী মুখোশবাহিনী ভেঙে দিতে বাধ্য হয়।
সে সময় তিন সংগঠনের (পাহাড়ি গণ পরিষদ, পাহাড়ি ছাত্র
পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন) মুখপত্র স্বাধিকার বুলেটিনে এ ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ
তুলে ধরা হয়। নীচে স্বাধিকার বুলেটিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি হুবহু দেয়া হলো:
-----------------
রবিবার, ২ মার্চ, ২০১৪
পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি-সম্প্রীতির ঘুম পাড়ানি গান আর কতদিন?
পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িদের
উপর এ যাবত যতগুলি সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা সংঘটিত হয়েছে সব ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ
বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকে নিরাপত্তার নামে নিয়োজিত বিশেষ কায়েমী স্বার্থবাদী মহলটি।
মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পুনর্বাসিত বাঙালিদের(যাদের সেটলার
বলা হয়)। কায়েমী স্বার্থবাদী অংশটির প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মদদেই এই সেটলাররা ঝাপিয়ে পড়ে
পাহাড়িদের উপর। তারা পাহাড়িদের গ্রামকে গ্রাম পুড়ে ছাড়খার করে দেয়। সাজেক, খাগড়াছড়ি,
শনখোলা পাড়া, তাইন্দং তারই উদাহরণ। অতি সম্প্রতি খাগড়াছড়ির কমলছড়ি ও বেতছড়িতে ঘটে যাওয়া
হামলার ঘটনাও তার কোন ব্যতিক্রম ছিল না। যখন পাহাড়িদের উপর হামলা চলে তখন শান্তির দূতটি
অশা্ন্তির কালো থাবা নিয়ে হাজির হয়। আর তখন শান্তি উধাও হয়ে যায় দূর থেকে অনেক দূরে।
কিন্তু যখন পাহাড়িদের ঘরবাড়ি পুড়ে শেষ হয়ে যায়, যখন পাহাড়িরা রক্তাক্ত হয় তখন ঐ শান্তির
দূতটি অট্টহাসি দিয়ে হাজির হয় শান্তি-সম্প্রীতি-উন্নয়নের শ্লোগান নিয়ে। পার্বত্য চট্টগ্রামে
বাস্তবতা এখন এটিই।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)