- নিরন চাকমা
আজ ১৭ নভেম্বর নান্যাচর গণহত্যার ২০তম বার্ষিকী। ১৯৯৩ সালের এই দিনে নান্যাচর বাজারে সেনাবাহিনী ও সেটলার বাঙালিরা মিলিতভাবে নিরীহ জুম্ম জনসাধারণের উপর হামলা চালিয়ে ৩০ জনের অধিক জুম্মকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
আজ ১৭ নভেম্বর নান্যাচর গণহত্যার ২০তম বার্ষিকী। ১৯৯৩ সালের এই দিনে নান্যাচর বাজারে সেনাবাহিনী ও সেটলার বাঙালিরা মিলিতভাবে নিরীহ জুম্ম জনসাধারণের উপর হামলা চালিয়ে ৩০ জনের অধিক জুম্মকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
ঘটনার পূর্ব ঘটনার কিছু
সংক্ষিপ্তাসার:
২৭ অক্টোবর’৯৩ পাহাড়ি ছাত্র
পরিষদ নান্যাচর থানা শাখার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করে। ২৮ অক্টোবর’৯৩ যাত্রী ছাউনীতে
বসাকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি ছাত্র নেতৃবৃন্দের সাথে সেনা সদস্যদের মধ্যে বাক-বিতন্ডা
হয়। সেনা সদস্যরা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে অভদ্র ও আশালীন ব্যবহার করেন।
এর প্রতিবাদে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ তৎক্ষণাৎ প্রতিবাদ মিছিল বের করে যাত্রী ছাউনীটি জনসাধারণে
জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার জোর দাবি জানায়।
২ নভেম্বর’৯৩ নান্যাচর
নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের বরাবরে স্মারকলিপি
পেশ করে ৬ নভেম্বর’৯৩’র মধ্যে যাত্রী ছাউনীটি
জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি জানায়। নির্বাহী অফিসার ১৬ নভেম্বর’৯৩ পর্যন্ত
মেয়াদ বাড়ানোর জন্য পিসিপি’র নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ জানায়। ছাত্র নেতৃবৃন্দ তার অনুরোধ
রক্ষা করেন।
এরপর নির্বাহী অফিসার হাবিবুর
রহমান নান্যাচর জোন কমান্ডার লে: কর্নেল আবু নাঈমম ওসি আমজাদ হোসেন, বুড়িঘাট ইউপি চেয়ারম্যান
আব্দুল লতিফ, প্রাক্তন চেয়ারম্যান আইয়ুব হাসান, ইউনুস সওদাগর, আহমদ মিয়া ও অন্যান্য
বহিরাগত বাঙালিদের সাথে নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। ধারণা করা হয় ঐ বৈঠকেই ১৭ নভেম্বর
হত্যাকান্ডের যাবতীয় নীল নক্সা পাকাপোক্ত করা হয়েছিল।
১৫ নভেম্বর ’৯৩ নির্বাহী
অফিসার হাবিবুর রহমান ও জোন কমান্ডার আবু নাঈম কর্মস্থল নান্যাচর ত্যাগ করে অন্যত্র
সরে যান।