রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪

পাহাড়কে কারা বিচ্ছিন্ন করতে চায়?

- নিরন চাকমা

পাহাড় বা পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পাহাড়িদের কেউ চায় না, কোন আঞ্চলিক দলও চায় না, কোন পাহাড়িও তা চায় না। যদি তা চাইতো তাহলে তারা বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবি-দাওয়া তুলে ধরতো না, চুক্তি করতো না। কোন আঞ্চলিক দলের গঠনতন্ত্র কিংবা ঘোষণাপত্রে পাহাড়কে বিচ্ছিন্ন করার কোন কিছুই লেখা নেই। তাহলে “পাহাড়কে বিচ্ছিন্ন করার” এই জুজুর ভয় কেন?

মূলত পাহাড়কে-পাহাড়িদেরকে বিচ্ছিন্ন করতে চাচ্ছে স্বয়ং শাসকগোষ্ঠি ও শাসকগোষ্ঠিভুক্ত বিভিন্ন দল ও ব্যক্তি, আমলা এবং রাষ্ট্রীয় বাহিনী-সংস্থার কায়েমী স্বার্থবাদী অংশটি (যারা দীর্ঘসময় ধরে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সুবিধা ভোগ করে আসছে)। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই এ প্রবণতা আমরা এদেশের শাসকগোষ্ঠির মধ্যে দেখে আসছি। তারাই পাহাড়িদের বিচ্ছিন্ন করে পাহাড়কে লুটেপুটে খেয়ে ধ্বংস করতে চায়।

শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করে রেখেছে শাসকগোষ্ঠি

- নিরন চাকমা

পার্বত্য চট্টগ্রামকে বরাবরই অশান্ত করে রেখেছে শাসকগোষ্ঠি। তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যাকে সামরিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বিচার-বিবেচনা করে থাকে। ফলে পাহাড়িদের বিরুদ্ধে কখনো রাষ্ট্রীয় বাহিনী, কখনো সেটলার লেলিয়ে দিয়ে, কখনো ভাগ করে শাসন করার নীতি প্রয়োগ করা হচ্ছে। কেড়ে নেয়া হচ্ছে পাহাড়িদের বেঁচে থাকার অবলম্বন ভুমি। যতই দিন যাচ্ছে ততই পরিস্থিতির আরো অবনতি হচ্ছে। পাহাড়িরা সংখ্যালঘু থেকে সংখ্যালঘুতে পরিণত হচ্ছে। অপরদিকে সংখ্যাগরিষ্ট হচ্ছে সেটলার বাঙালিরা। বদলে দেয়া হচ্ছে জনমিতি।

সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সংখ্যাগরিষ্ট বাঙালি জনগণ এখনো বুঝলো পাহাড়িদের দুঃখ-কষ্টের কথা

- নিরন চাকমা

বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫৪ বছরে এসেও, গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার কথা বলা হলেও, এদশের শাসকচক্র ও সংখ্যাগরিষ্ট বাঙালি জনগণের বেশিরভাগ অংশই এখনো বুঝলো না পাহাড়িদের দুঃখের কথা, কষ্টের কথা।

রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

কী আজব, কী বিচিত্র এদেশের মিডিয়াগুলো!

- নিরন চাকমা

খাগড়াছড়ির নারাঙহিয়া-স্বনির্ভর এলাকায় রাষ্ট্রীয় বাহিনী নির্বিচারে গুলি করে দু’জনকে হত্যা করা, ডজনের অধিক লোককে গুরুতর আহত করা, আশীষ বাবুর মতো মুরুব্বীকে ধরে নিয়ে নির্যাতন-হেনস্থা করা এসব কী এদেশের মিডিয়া দেখবে না? উল্টো তারা মুখস্থ বলে দিলো ‌'স্বনির্ভরে রাতভর গোলাগুলি'। কী আজব, কী বিচিত্র এদেশের মিডিয়াগুলো! তারা যে স্বনির্ভরে গিয়ে একটু খোঁজ খবর নেবে, প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরবে-- না সেটা তো কোন মিডিয়ায় করেনি।