মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৫

পার্বত্য চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি না হলে বার বার সামরিকতন্ত্রের কবলে পড়বে দেশ

- নিরন চাকমা

সংগৃহিত ছবি
পার্বত্য চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি না হলে বাংলাদেশ কখনো সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হতে পারবে না। দেশটা বার বার সামরিকতন্ত্রের কবলে পড়বে। কারণ পার্বত্য চট্টগ্রাম হচ্ছে সামরিক ক্ষমতা চর্চার সুতিকাগার। একজন সাধারণ সৈনিকও সেখানে ক্ষমতার দাপট দেখায়।

সুতরাং, বাংলাদেশকে প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাইলে আগে পার্বত্য চট্টগ্রামকে গণতন্ত্রায়ন করতে হবে।

সার্বভৌমত্বের দোহাই দিয়ে যদি পার্বত্য চট্টগ্রামে সামরিক ক্ষমতা কেন্দ্রিক শাসন জারি রাখেন তাহলে দেশটা বার বার স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থায় (প্রেত্যক্ষ বা পরোক্ষ) পতিত হবে।

সংবিধান, আইন, বিচার বিভাগ যাই বলেন না কেন, সামরিকতন্ত্র তা মেনে চলে না। পার্বত্য চট্টগ্রামে এটা পরিষ্কারভাবে দেখা যায়। সেখানে সংবিধান-আইনের কোন গুরুত্বই নেই। পাহাড়িদের ওপর যা ইচ্ছে তাই করা হয়ে থাকে।

কাজেই, দেশের শাসকগোষ্ঠিভুক্ত সকল দলসহ ব্যক্তি-বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজ, নাগরিক ও তরুণ প্রজন্মকে এ নিয়ে ভাবা দরকার।

২১.০১.২০২৫

সোমবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৫

পাহাড় ও সমতলের জাতিসত্তাদের সাথে এমন বৈষম্যমূলক আচরণ কেন?

-নিরন চাকমা

পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সমতলের বাঙালি ভিন্ন অপরাপর জাতিসত্তার জনগণ যখন সংবিধানে জাতিগত পরিচয়ে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানাচ্ছেন তখনই দেয়া হচ্ছে “বিচ্ছিন্নতাবাদী”র মতো ট্যাগ। তাহলে প্রশ্ন হলো- কারা এদেশের বাঙালি ভিন্ন অন্য জাতিসত্তাগুলোকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে চায়? কেনই বা তারা উগ্র বাঙালি জাতীয়তাবাদ চাপিয়ে দিয়ে দেশের অপরাপর জাতিসত্তাগুলোকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চাচ্ছে?

আমরা জানি, আওয়ামী লীগ ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধীর মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের ভিন্ন ভাষা-সংস্কৃতির জাতিসত্তাগুলোকে সাংবিধানিকভাবে বাঙালি বানিয়েছিল। এর বিরুদ্ধে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশে ব্যাপক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করা হলেও তা বাতিল করা হয়নি। তার আগে ৭২’র সংবিধানেও সবাইকে বাঙালি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল, যার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন এম এন লারমা।