সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৪

সরকারের উন্নয়নের ফাঁদ, পাহাড়িদের আর্তনাদ

'উন্নয়ন' নামক শব্দটি শুনতে ভালো লাগলেও পার্বত্য চট্টগ্রামে এ শব্দটির সাথে মিছে আছে কান্না, উচ্ছেদ আর ভূমি হারানোর আর্তচিকার। তাই বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে অপরাপর মন্ত্রী-এমপিদের মুখ থেকে উন্নয়নের কথা শুনে পাহাড়িরা আশঙ্কিত না হয়ে পারছে না। 
 
সরকার রাঙামাটিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডকেল কলেজ স্থাপনের সকল প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করে ফেলেছে। অন্যদিকে সাজেককে দার্জিলিং বানানোর ঘোষণা দিয়ে সেখানে পর্যটন কেন্দ্র সহ রাস্তাঘাট উন্নয়নের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। সম্প্রতি খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারার নাক্রাই ছড়ায় জলবিদ্যুত প্রকল্পের কথা শুনা যাচ্ছে। মন্ত্রী-এমপি তথা সরকারের কথাবার্তা শুনে ও কাজ কর্ম দেখে মনে হচ্ছে উন্নয়ন হলেই পার্বত্য চট্টগ্রামের সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। পাহাড়িরা যেন শুধু উন্নয়নই চাচ্ছে, আর কোন কিছুই নয়। আসলে এই 'উন্নয়ন' নামক শব্দটির পেছনে রয়েছে সরকারের সুগভীর ষড়যযন্ত্র। পাহাড়িদের নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ করার একটা গোপন পরিকল্পনা। 

রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

১৩তম মৃত্যুদিবসে শহীদ রূপক চাকমা'র স্মরণে..

আজ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ শহীদ রূপক চাকমার ১৩তম মৃত্যু দিবস। ২০০১ সালের এই দিনে ইউপিডিএফ’র পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় পানছড়ির মধুমঙ্গল পাড়ায় সন্তু লারমার লেলিয়ে দেয়া সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে।

শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

প্রথাগত ভূমি অধিকারের স্বীকৃতি ছাড়া পাহাড়িদের ভূমি অধিকারের নিশ্চয়তা কোথায়?

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'পাহাড়ে বসবাসকারী সবার ভূমির অধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যা করার প্রয়োজন তার সবই করবে সরকার।'(ইত্তেফাক, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪)

তিনি আরো বলেছেন, 'যারা পার্বত্যাঞ্চলে থাকেন তাদের ভূমির অধিকার রয়েছে। তারা আমাদের দেশের নাগরিক। এজন্য দেশের নাগরিকদের মতো তারাও ভূমির অধিকার ভোগ করবেন।' (সূত্র: ঐ)

এখন প্রশ্ন হচ্ছে,  তিনি কিভাবে পাহাড়িদের ভূমি অধিকার নিশ্চিত করবেন। প্রধানমন্ত্রী পাহাড়ে বা পার্বত্যাঞ্চলে বসবাসকারীরা দেশের নাগরিকদের মতো ভূমি অধিকার ভোগ করার কথা বলেছেন। এর মাধ্যমে তিনি কি বুঝাতে চেয়েছেন তা বোধগম্য নয়। কারণ পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িরা ছাড়াও কয়েক লক্ষ বহিরাগত বাঙালি বসবাস করছেন। যাদেরকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নিয়ে এসে পাহাড়িদের হাজার হাজার একর ভোগদখলীয় জমি বেদখল করে সেখানে পুনর্বাসন করা হয়েছে। তাহলে তিনি কি এই বহিরাগত বাঙালিদেরও ভূমি অধিকার নিশ্চিত করবেন?

শনিবার, ২ আগস্ট, ২০১৪

সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রীর নাকে বারুদ আর রক্তের গন্ধ !

বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রাঙামাটিতে ব্যক্তিগত সফরে এসে গত বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই ২০১৪) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সাথে আলোচনার সময় বলেছেন তিনি নাকি পার্বত্য এলাকায় এসে 'বিপদের গন্ধ, বারুদের গন্ধ, রক্তের গন্ধ এবং ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন।' 

আসলে যারা এসব নিয়ে খেলে তারা প্রতিনিয়তই এসবের গন্ধ পান। কারণ তাদের নাকগুলো সবসময় এসব গন্ধে ঠাসা থাকে। ওবায়দুল কাদের সাহেব যেহেতু এসবের গন্ধ পেয়েছেন সেহেতু পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণকে নিশ্চয় আরো বেশি সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে।

বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৪

বিঝু-২

বিঝু এজে
ফাগুনো আভা লগে
ভাদজরা ফুল ফুদন
মনান ধ' হুজি অবার হধা
হালিক আমা মনানি হুজি অই ন'উধে
চিদেয় চিদেয় বুগ ভোরি যায়
দুগর সাগরদ ভাজি যায়
হিল চাদিগাঙর মাদি।

মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৪

বিঝু

বিঝু তুই এবার অ'লে আমা হিল চাদিগাঙত
মাদি রোগোনি অই যায়,
আমা জুম্ম মা' বোনুন'র ইজ্জত ন'থায়।

বিঝু তুই এবার অ'লে জুম্মউনোর ঘর পুড়ি যায়
জুম্মউনোর উধোত মুয়োদ পানি নেই অয়।

বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০১৪

স্বাধীনতা শুধু বাঙালি জাতির, অন্য জাতির নয়

আজ ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত হলো। গাওয়া হলো লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত। খরচ করা হলো কোটি কোটি টাকা। অনুষ্ঠানে যাবার সুযোগ না হলেও ঘরে বসে টিভির পর্দায় লাইভ অনুষ্ঠানটি দেখার সুযোগ হয়েছে। অনুষ্ঠান দেখে মনে হলো গিনেস বুকে বিশ্ব রেকর্ড করার জন্য এই আয়োজন ছিল শুধুমাত্র বাঙালি জাতির জন্যই। দেশের অন্যান্য জাতির জনগণ অনুষ্ঠানে বিভিন্নভাবে অংশ নিলেও তাদেরকে আজ আবারো বাঙালি জাতিতে রূপান্তরিত করা হলো। যেমনটি করা হয়েছিল শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চে।

মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০১৪

সরকারকে শুধু প্রশংসা করতে হবে কেন?

কিছুদিন আগে ঢাকায় এক আলোচনা সভায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড.মিজানুর রহমান সরকারের ব্যর্থতায় সংখ্যালঘু নির্যাতন বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সমালোচনা করায় সরকারের দুই প্রভাবশালী মন্ত্রীর তোপের মুখে পড়েছেন। জাতীয় মানববাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর কি সরকারের সমালোচনা করার কোন অধিকার নেই?
দেশের একজন নাগরিক হিসেবে সরকারের সমালোচনা করা, দোষত্রুটি তুলে ধরার অধিকার সবারই রয়েছে। কিন্তু গণতন্ত্রের লেবাসধারী এদেশের সরকারের কর্তাব্যক্তিরা(প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে) কিছুতেই সমালোচনা সহ্য করতে পারে না। কেউ সমালোচনা করলে তাকে নানাভাবে হেনস্থা করা হয়ে থাকে। এটা কেন?

বুধবার, ১২ মার্চ, ২০১৪

সুদীর্ঘ চাকমার ১ম মৃত্যুবার্ষিকীতে কিছু কথা

আজ ১২ মার্চ ২০১৪ সাল। গতবছর (২০১৩) এইদিনে জনসংহতি সমিতি(এমএন লারমা)-এর অন্যতম সংগঠক সুদীর্ঘ চাকমা লংগদু এলাকায় সাংগঠনিক কাজ করতে গিয়ে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের (এক সময়ের আন্দোলনের সহযাত্রী!)  ব্রাশ ফায়ারে ৩জন সহযোদ্ধাসহ নির্মমভাবে নিহত হয়েছিলেন। আজ তাঁর এবং তাঁর সাথে নিহত সহযোদ্ধাদের মৃত্যুর এক বছর পূর্ণ হল।

সোমবার, ১০ মার্চ, ২০১৪

পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্ণস্বায়ত্তশাসন দাবি উত্থাপনের দিন আজ

আজ ১০ মার্চ পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্ণস্বায়ত্তশাসন দাবি উত্থাপনের দিন। ১৯৯৭ সালের এদিন পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন সংগঠন পাহাড়ি গণ পরিষদ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশের মাধ্যমে এই পূর্ণস্বায়ত্তশাসন দাবি উত্থাপন করে এবং একটি প্রচারপত্র বিলি করে। যে সময় এই দাবি উত্থাপন করা হয় সে সময় পার্বত্য চট্টগামসহ দেশে-বিদেশে সর্বত্রই পার্বত্য চুক্তিকে ঘিরে চলছিলো জোর প্রচার-প্রচারণা, রেডিও-টিভি, পত্র-পত্রিকা ছিল সরব, পরিস্থিতি ছিল সম্পূর্ণ বৈরী ও প্রতিকূল। এ ধরনের পরিস্থিতিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের ছাত্র-যুব সমাজের অগ্রণী অংশটি এই পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের দাবি উত্থাপনের মধ্যে দিয়ে জাতীয় জীবনের সন্ধিক্ষণে পালন করে এক ঐতিহাসিক দায়িত্ব। এর ফলে অচিরেই শাসক চক্রের প্রতারণা চুক্তি সম্পাদনকারী জেএসএসসহ সবার কাছে উন্মোচিত হয়।

রবিবার, ৯ মার্চ, ২০১৪

কুদৃষ্টির হাতে আর কত সুদৃষ্টির প্রাণ বলি হবে?

সুদৃষ্টি চাকমা(৩৫), পিতা-মৃত নিতাই চাকমা। এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক। তাঁর স্ত্রীর নাম একি চাকমা। ছেলেটি বাবুছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীতে পড়ে। নাম সুপার চাকমা(১৫)। আর মেয়েটি পড়ে বাবুছড়া আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২য় শ্রেণীতে। তার নাম ওহেলী চাকমা(৭)। দিঘীনালার বাবুছড়া ইউনিয়নের মঘ্যা কার্বারী পাড়ায় তার বাসা।

হয়তো প্রশ্ন জাগতে পারে কোন সেই সুদৃষ্টি চাকমা। বলছিলাম সেই সুদৃষ্টির কথা, যে সুদৃষ্টি চাকমা আজ (৯ মার্চ) রবিবার সকালে দিঘীনালার বাবুছড়া রাস্তামাথায় সন্তু লারমার লেলিয়ে দেয়া সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে নিহত হয়েছিলো।

শনিবার, ৮ মার্চ, ২০১৪

আন্তর্জাতিক নারী দিবস ও পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম্ম নারীদের নিরাপত্তা

আজ ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। বিশ্বের দেশে দেশে নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করা হয়ে থাকে।

প্রত্যেক দেশের মতো আমাদের বাংলাদেশেও প্রতি বছর এদিনটি পালিত হয়ে আসছে। এদিনটিতে নারী সংগঠনগুলো তপর হয়ে ওঠে। সমাবেশ-মিছিল শোভাযাত্রা হয়। সরকারীভাবেও দিবসটি পালিত হয়। রাষ্ট্রের হোমরা চোমরারা নারী অধিকার নিয়ে অনেক গালভরা বাক্য বিস্তার করেন। অনেক প্রতিশ্রুতি অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়। নারী অধিকার বিষয়ক সনদ, সিদ্ধান্ত, প্রস্তাব ও খসড়া আইন লিখতে দিস্তার পর দিস্তা কাগজ খরচ হয়ে যায়। কিন্তু বাংলাদেশের নারী সমাজের ভাগ্যের তেমন একটা পরিবর্তন হয় না। নারী নির্যাতন, নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ, নারীর অবমূল্যায়ন কমে না।

শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০১৪

মুখোশ বাহিনীর বিরুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল প্রতিরোধ বার্ষিকী ও শহীদ অমর বিকাশ দিবস আজ

আজ ৭ মার্চ সেনা সৃষ্ট মুখোশ বাহিনীর বিরুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল প্রতিরোধ বার্ষিকী ও শহীদ অমর বিকাশ দিবস। ১৯৯৬ সালের এদিন খাগড়াছড়ির জনতা মুখোশ বাহিনীর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ সংগ্রাম গড়ে তুলে। এদিন মুখোশ বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে গিয়ে সেনাবাহিনীর গুলিতে শহীদ হন অমর বিকাশ চাকমা। জনতার প্রতিরোধের মুখে পরবর্তী সময়ে সরকার ও সেনাবাহিনী মুখোশবাহিনী ভেঙে দিতে বাধ্য হয়।
সে সময় তিন সংগঠনের (পাহাড়ি গণ পরিষদ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন) মুখপত্র স্বাধিকার বুলেটিনে এ ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হয়। নীচে স্বাধিকার বুলেটিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি হুবহু দেয়া হলো:
-----------------

রবিবার, ২ মার্চ, ২০১৪

পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি-সম্প্রীতির ঘুম পাড়ানি গান আর কতদিন?

পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িদের উপর এ যাবত যতগুলি সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা সংঘটিত হয়েছে সব ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকে নিরাপত্তার নামে নিয়োজিত বিশেষ কায়েমী স্বার্থবাদী মহলটি। মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে পুনর্বাসিত বাঙালিদের(যাদের সেটলার বলা হয়)। কায়েমী স্বার্থবাদী অংশটির প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মদদেই এই সেটলাররা ঝাপিয়ে পড়ে পাহাড়িদের উপর। তারা পাহাড়িদের গ্রামকে গ্রাম পুড়ে ছাড়খার করে দেয়। সাজেক, খাগড়াছড়ি, শনখোলা পাড়া, তাইন্দং তারই উদাহরণ। অতি সম্প্রতি খাগড়াছড়ির কমলছড়ি ও বেতছড়িতে ঘটে যাওয়া হামলার ঘটনাও তার কোন ব্যতিক্রম ছিল না। যখন পাহাড়িদের উপর হামলা চলে তখন শান্তির দূতটি অশা্ন্তির কালো থাবা নিয়ে হাজির হয়। আর তখন শান্তি উধাও হয়ে যায় দূর থেকে অনেক দূরে। কিন্তু যখন পাহাড়িদের ঘরবাড়ি পুড়ে শেষ হয়ে যায়, যখন পাহাড়িরা রক্তাক্ত হয় তখন ঐ শান্তির দূতটি অট্টহাসি দিয়ে হাজির হয় শান্তি-সম্প্রীতি-উন্নয়নের শ্লোগান নিয়ে। পার্বত্য চট্টগ্রামে বাস্তবতা এখন এটিই।

শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

'ভালোবাসা দিবস' তরুণদের চিন্তার বিকৃতি ও শাসক শ্রেণীর একটি মোক্ষম হাতিয়ার

আজ ১৪ ফেব্রুয়ারী পালিত হচ্ছে 'ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন ডে'। শহর ছাড়িয়ে গ্রামে-গঞ্জেও এখন তরুণ-তরুণীরা এ দিবসটি পালন করে থাকে। এ দিবসটি নিয়ে কর্পোরেট মিডিয়াগুলো বিশেষ প্রচারণায় সরব হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের তরুণ প্রজন্মও এক্ষেত্রে বসে নেই। সময়ের সাথে সাথে তারাও এই দিবসের নেশায় মশগুল হয়ে পড়ছে। পরিবর্তন হচ্ছে রুচিবোধের। বদলে যাচ্ছে নিজস্ব সংস্কৃতি। গড্ডালিকা প্রবাহে ভেসে চলেছে মদ-জুয়া-হিরোইন সহ বিভিন্ন মাদকের আসরে। ঘটছে চিন্তার বিকৃতি।  
এদিকে, এসব সংস্কৃতি ও রুচিবোধের মধ্যে তরুণদেরকে আচ্ছন্ন করে রাখতে শাসক শ্রেণী এ ধরনের দিবসগুলোকে একটি মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। কারণ তরুণদেরকে এসব দিবসে আচ্ছন্ন রাখতে পারলেই তাদের লাভ। কিন্তু আমাদের অধিকাংশ তরুণ-তরুণীই এটা কিছুতেই বুঝতে চায় না। যা আমাদের সমাজ, দেশ ও জাতির জন্য কখনো শুভ লক্ষণ নয়।