- নিরন চাকমা
বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫৪ বছরে এসেও, গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার কথা বলা হলেও, এদশের শাসকচক্র ও সংখ্যাগরিষ্ট বাঙালি জনগণের বেশিরভাগ অংশই এখনো বুঝলো না পাহাড়িদের দুঃখের কথা, কষ্টের কথা।
তারা পাহাড়িদের কথিত “বিচ্ছিন্নতাবাদী”, “সন্ত্রাসী" আখ্যা দিয়ে সামরিক শাসনের স্টিম রোলারে পিষ্ট করে পাাহড়িদের পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে তাড়িয়ে দিয়ে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায়, তারা পাহাড়িদের ভূমি কেড়ে নিয়ে পর্যটন-রিসোর্ট, বাগান-বাগিচা গড়ে তুলতে চায়, তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের বনজ-খনিজ সম্পদ লুটেপুটে খেয়ে সাবাড় করতে চায়, তারা পাহাড়িদের ঘরবাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছাড়খার করে দিয়ে সর্বশান্ত করতে চায়, তারা কথিত "গোলাগুলির" নাটক সাজিয়ে পাহাড়ি তরুণ নেতা-কর্মীদের পাখির মতো গুলি করে হত্যার মাধ্যমে নেতৃত্বশুন্য করে দিতে চায়, তারা জাতিগত স্বীকৃতি না দিয়ে পাহাড়িদের আত্মপরিচয় মুছে দিতে চায়।
এদেশের শাসকচক্র ও সংখ্যাগরিষ্ট বাঙালি জনগণের (মুষ্টিমেয়
কিছু সংখ্যক বাদে) এমন মানসিকতা পরিবর্তনের কোন সম্ভাবনাই আমরা দেখতে পাই না। বরং
যতই দিন যাচ্ছে ততই পাহাড়িদের প্রতি তাদের মানসিকতা আরো বেশি ঘৃণায় ভরে উঠছে।
পাহাড়িদের জন্য এর চেয়ে দুঃখজনক, বেদনাত্মক আর কী হতে পারে?
২৩.০৯.২০২৪
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন