রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৩

রক্তস্নাত নান্যাচর গণহত্যা স্মরণে

- নিরন চাকমা

আজ ১৭ নভেম্বর নান্যাচর গণহত্যার ২০তম বার্ষিকী। ১৯৯৩ সালের এই দিনে নান্যাচর বাজারে সেনাবাহিনী ও সেটলার বাঙালিরা মিলিতভাবে নিরীহ জুম্ম জনসাধারণের উপর হামলা চালিয়ে ৩০ জনের অধিক জুম্মকে নির্মমভাবে হত্যা করে।

ঘটনার পূর্ব ঘটনার কিছু সংক্ষিপ্তাসার:
২৭ অক্টোবর’৯৩ পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ নান্যাচর থানা শাখার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করে। ২৮ অক্টোবর’৯৩ যাত্রী ছাউনীতে বসাকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি ছাত্র নেতৃবৃন্দের সাথে সেনা সদস্যদের মধ্যে বাক-বিতন্ডা হয়। সেনা সদস্যরা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে অভদ্র ও আশালীন ব্যবহার করেন। এর প্রতিবাদে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ তক্ষণা প্রতিবাদ মিছিল বের করে যাত্রী ছাউনীটি জনসাধারণে জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার জোর দাবি জানায়।
২ নভেম্বর’৯৩ নান্যাচর নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করে  ৬ নভেম্বর’৯৩’র মধ্যে যাত্রী ছাউনীটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবি জানায়। নির্বাহী অফিসার ১৬ নভেম্বর’৯৩ পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানোর জন্য পিসিপি’র নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ জানায়। ছাত্র নেতৃবৃন্দ তার অনুরোধ রক্ষা করেন।
এরপর নির্বাহী অফিসার হাবিবুর রহমান নান্যাচর জোন কমান্ডার লে: কর্নেল আবু নাঈমম ওসি আমজাদ হোসেন, বুড়িঘাট ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ, প্রাক্তন চেয়ারম্যান আইয়ুব হাসান, ইউনুস সওদাগর, আহমদ মিয়া ও অন্যান্য বহিরাগত বাঙালিদের সাথে নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। ধারণা করা হয় ঐ বৈঠকেই ১৭ নভেম্বর হত্যাকান্ডের যাবতীয় নীল নক্সা পাকাপোক্ত করা হয়েছিল।
১৫ নভেম্বর ’৯৩ নির্বাহী অফিসার হাবিবুর রহমান ও জোন কমান্ডার আবু নাঈম কর্মস্থল নান্যাচর ত্যাগ করে অন্যত্র সরে যান।

সেদিন যা ঘটেছিল:
“ ১৭ নভেম্বর’৯৩ বুধবার। নান্যাচর বাজারের হাটের দিন। শত শত জুম্ম নর-নারী সওদা করতে বাজারে এসেছিলেন। যাত্রী ছাউনীর ব্যাপারে প্রশাসন কি পদক্ষে নিয়েছিল তা জানার জন্য ছাত্ররা টিএনও হাবিবুর রহমানের অফিসে যায়। কিন্তু রহমান সাহেব অফিসে নেই। তিনি কোথায় গেছেন তা কেউ জানেন না। এরপর ছাত্ররা ১৮ থেকে ২৪ নভেম্বর এক সপ্তাহের জন্য বাজার বয়কটের আহ্বান জানিয়ে একটি প্রচার মিছিল ও সমাবেশ করে।
বেলা প্রায় পৌনে ১টা। সমাবেশ প্রায় শেষের পথে। হঠা পার্বত্য গণপরিষদ নামধারী একদল বহিরাগত বাঙালি লাঠি সোটা হাতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক শ্লোগান সহকারে সমাবেশের দিকে এগিয়ে আসে। ফলে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সমাবেশটি শেষ না হতেই ভন্ডুল হয়ে যায়। চারিদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। জুম্মরা সন্ত্রস্ত হয়ে এদিকে সেদিকে ছুটোছুটি আরম্ভ করে।  উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে  নান্যাচরে পার্বত্য গণপরিষদ নামে কোন সংগঠনের নাম গন্ধই ছিল না। হঠাই এদের আবির্ভাব। এ সময় প্রশাসন রহস্যজনকভাবে সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
উত্তেজনা কিছুটা কমে আসলে জুম্মরা আবারো যার যার মতো সওদা করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সেই মুহুর্তে বুড়িঘাট, বগাছড়ি ও ইসলামপুর থেকে ট্রলার ও নৌকাযোগে বেশ কয়েক শত বহিরাগত বাঙালি দা, বর্শা, বল্লম, ছোড়া, কুড়াল ইত্যাদি হাতে উত্তেজিত শ্লোগান সহকারে বিনা বাধায় লঞ্চঘাটে ভিড়ে এবং যাত্রী ছাউনীতে সেনা অবস্থানের পাশে জড়ো হয়। তাদের মুখে শোনা যাচ্ছিল “ শালাদের মার মার ধর ধর”। বহিরাগত বাঙালিদের হিংস্র মনোভাব ও প্রশাসনের রহস্যজনক নিষ্ক্রিয়তার প্রেক্ষিতে আক্রমণ ঠেকানোর জন্য জুম্মরাও লাঠি সোটা নিয়ে আত্মরক্ষার ভূমিকা নিতে বাধ্য হয়। বহিরাগতরা ক্রমাগত শক্তি বৃদ্ধি করতে থাকে। বিষয়টি ওসি আমজাদ হোসেনকে জানানো হলে তিনি বলেন-“কিছু হবে না, আমরা রয়েছি। ডিসি এবং এসপিকে টেলিফোন করা হয়েছে। তারা ইতিমধ্যেই নান্যাচরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। আপনার কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন”। তখন বেলা আড়াইটা।
সেই মুহুর্তে প্রীতিময় চাকমা নামে একজন গাড়ীর যাত্রী আক্রমণের হাত থেকে কোন রকম রক্ষা পেয়ে বাজারে পালিয়ে আসেন। তিনি জানালেন যে, ‘নান্যাচর থেকে রাঙামাটিগামী একটি বাসে ইসলামপুর নামক এক বাঙালি পাড়ায় জুম্ম যাত্রীদের উপর বাঙালিরা হামলা চালিয়েছে এবং অমানবিক মারধর চালাচ্ছে। আমিও সেই গাড়ীর যাত্রী। আমি কোন রকম জীবন বাজি রেখে পালিয়ে আসায় রক্ষা পেয়েছি।” এ খবর শুনে জুম্মরা আতঙ্কিত, সন্ত্রস্ত ও উত্তেজিত হয়ে ওঠে। অনেকে বাড়ী যেতে চেয়েও ব্যর্থ হলো। কারণ লঞ্চঘাটে ধারালো অস্ত্রধারী বহিরাগত বাঙালীরা অবস্থান করছে। তারা সেখান থেকে জুম্মদের উদ্দেশ্যে উস্কানিমূলকভাবে ধারালো অস্ত্র উচিয়ে নিজেদের সমর শক্তি প্রদর্শন করাচ্ছে।  তখনও বাঙালির ট্রলার আসা অব্যাহত রয়েছে। যাত্রী ছাউনীতে আর্মিদের  শক্তিও বেশ বৃদ্ধি করা হয়। সহজ-সরল জুম্মরা আমজাদ হোসেনের আশ্বাসে আশ্বস্ত হয়ে ডিসি ও এসপি’র আগমণের অপেক্ষায় বসে থাকে।
বহিরাগত বাঙালিদের অস্বাভাবিক ধরনের শক্তি বৃদ্ধির কথা প্রশাসনকে বার বার জানানো সত্ত্বেও কোন কাজ হয়নি। তারা দেখেও না দেখার ভাণ করে উত্তেজনা প্রশমনের কৃত্রিম প্রচেষ্টা চালায়। এর ফাঁকে প্রায় ৭/৮শত বাঙালিকে ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত করে যাত্রী ছাউনী সংলগ্ন দক্ষিণে হসপিটাল রোডে জড়ো করে রাখা হয়।
বেলা ৩টা ৫৮ মিনিট। হঠা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরারত সমর কান্তি চাকমার উপর উস্কানীমূলকভাবে বহিরাগত বাঙালিরা আক্রমণ করে। ইট ছোঁড়া হয় তাকে লক্ষ্য করে। তাঁর মাথা থেকে অশ্রান্ত ধারায় রক্ত পড়তে থাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে কোন রকমে সরানো হয়। এ সময় যাত্রী ছাউনীতে একটি হুইসেল উচ্চস্বরে বেজে উঠে। সঙ্গে সঙ্গে দা, কিরিচ, খন্তা, কুড়াল, মুগুর ইত্যাদি উচিয়ে বাঙালিরা ইট ছুঁড়তে ছুঁড়তে জুম্মদের দিকে ধেয়ে আসে।  জুম্মরাও আত্মরক্ষা করতে সচেষ্ট হয়। প্রায় ২০/২৫ জন পুলিশ যাত্রী ছাউনীর পাশের এক কোণা থেকে এ দৃশ্য প্রাণভয়ে চেয়ে থাকে। জুম্মরা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাহিরাগত বাঙালিরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। কিন্তু বাঙালিদের এই পিছু হটাকে যাত্রী ছাউনীতে অবস্থানরত আর্মিরা সহ্য করতে পারলো না। সেনারা তাদের সাহস ও বীরত্ব দেখাতে তাদের স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে তাজা গুলি ছুঁড়তে লাগলো নিরস্ত্র জুম্মদের তাক করে। মুহুর্তের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শোভাপূর্ণ চাকমা, কালাবিজা চাকমা, অর্জুন মণি চাকমা ও ধীরেন্দ্র চাকমা। ভূজন, কৌশল্যাসহ অনেকে আহত হলেন এ নির্বিচার গুলিতে। চারিদিকে রক্তে লাল হয়ে উঠলো নান্যাচরের মাটি। 
জুম্মরা দিক-বিদিক হয়ে যে যেদিকে পারে পালাতে শুরু করলো। আর্মি, পুলিশ ও বহিরাগতরা ঐক্যবদ্ধভাবে পলায়নরত জুম্মদের ধাওয়া করে। কিন্তু নিঃস্ব জুম্মরা পালবে কোথায়? ইতিমধ্যে বাঙালি ও আর্মিরা চারদিকে ঘিরে ফেলেছে।  অধিকাংশ জুম্ম থানা রোড ধরে পালাতে আরম্ভ করে। কিন্তু বিধির নিষ্ঠুর বিধান! সেখানেও আর্মিরা ওঁ পেতে বসে রয়েছে। জুম্মরা যখন পালাতে থাকে তখন সেই অপেক্ষারত আর্মিরা সরাসরি তাদের উপর আক্রমণ চালায়। শুরু হয় হৃদয় বিদারক নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। জুম্মদের মরণ চিকার। হায়েনাদের উল্লাস ধ্বনি। বীভস আর্তনাদ, করুণ চিকার মুহুর্তের মধ্যে নান্যাচরের আকাশ বাতাস শোকাচ্ছিন্ন হয়ে উঠে। সাথে সাথে ৩০টি জুম্ম বাড়ীতে তারা আগুন ধরিয়ে দেয়।
বাড়ি ও দোকানে তল্লাসি চালিয়ে জুম্মদের হত্যা ও আহত করা হয়। তল্লাসির সময় সেনা সদস্যরা বন্দুকের বেয়নেট ও বাট দিয়ে আধমরা করে রাখে, অত:পর তাদের সহযোগী বাঙালিরা ধারালো অস্ত্রে তাদের হত্যা করে। নিজ বাড়িতেই অনেক জুম্মকে খুন ও আহত করা হয়। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় বহিরাগত বাঙালিরা জুম্মদের সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায়। বিকাল প্রায় ৫টার দিকে রাঙামাটি থেকে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ যখন নান্যাচর লঞ্চঘাটে পৌঁছে তখন সেনাবাহিনী ও পুলিশের সামনে বাঙালিররা জুম্ম যাত্রীদের উপর আক্রমণ করে। এতে বেশ কয়েকজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়। এ হত্যাযজ্ঞে ৩০ জনের অধিক জুম্মকে হত্যা জুম্মকে হত্যা করা হয়। এছাড়া হামলায় কমপক্ষে ১৬০ জনের অধিক জুম্ম আহত হয়। ধর্মীয় গুরুরাও এই বর্বর হামলা থেকে রেহাই পায়নি।"

পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম্মদের উপর এ যাবতকালে ডজনের অধিক গণহত্যা ও কয়েক ডজন সাম্প্রদায়িক হামলা চালানো হয়েছে। কিন্তু কোন ঘটনারই আজো কোন বিচার করা হয়নি। বরং রাষ্ট্র, সরকার, সেনাবাহিনী তথা শাসকগোষ্ঠি বরাবরই হামলাকারী বহিরাগতদের সহযোগিতা দিয়ে এসেছে। অতি সম্প্রতি তাইন্দংয়ে সাম্প্রদায়িক হামলা এখনো দগদগে ক্ষত চিহ্ন বহন করে চলেছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তির বাণী শুনিয়ে ’৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণ আজো সাম্প্রদায়িক অপশক্তির কালো থাবা থেকে রেহাই পায়নি।  রাষ্ট্রীয় বাহিনীর ছত্র-ছায়ায় এ অপশক্তি দিন দিন শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এই অপশক্তিকে মোকাবেলা করার জন্য আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া আর কোন পথ নেই।

অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও আন্দোলন করতে গেলে রাষ্ট্রের হর্তাকর্তারা সন্ত্রাসী কায়দায় হুমকি দিয়ে আন্দোলন দমনের চেষ্টা চালায়। দেশের একজন প্রধানমন্ত্রী হয়েও শেখ হাসিনা গত ১১ নভেম্বর খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে সেদিন যারা ন্যায়সঙ্গতভাবে সড়ক অবরোধ পালন করেছিল তাদেরকে হুমকি দিয়ে বলেছেন “তারা কতটা শক্তিশালী তা আমিও দেখে নেব”। এর পরদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও সাজেক থানা উদ্বোধন করতে গিয়ে একইভাবে  হুমকি দেন।  রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছ থেকে এ ধরনের হুমকি কিছুতেই শোভা পায় না। তাঁদের এই হুমকিমূলক কথাবার্তা শুনে দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের কথা মনে করিয়ে দেয়।

যুগ যুগ ধরে রাষ্ট্র এভাবেই হুমকি, ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত জুম্ম জাতিগুলোর উপর নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়ে আসছে।  কিন্তু রাষ্ট্র তথা শাসকগোষ্ঠিকে এটা মনে রাখা দরকার যে, সাম্প্রদায়িক হামলা, গণহত্যা, নিপীড়ন-নির্যাতন-অত্যাচার ও ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে একটি জাতিকে অধিকারের আকাঙ্ক্ষা থেকে দূরে সরিয়ে রাখা যায় না। পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণকে অধিকার বঞ্চিত রাখার চেষ্টা কখনো শুভ ফল দেবে না।

পরিশেষে জুম্ম জনগণের উদ্দেশ্যে এটাই বলতে চাই, পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত সকল হত্যাযজ্ঞ থেকে শক্তি সঞ্চয়ের মাধ্যমে শোককে শক্তিতে পরিণত করে রক্ত পিচ্ছিল পথ বেয়ে অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে লড়ে যেতে হবে হাজারো বুলেট, বুটের লাঠি, চক্তচক্ষু, নিপীড়ন-নির্যাতন ও  হুংকার উপেক্ষা করে। এছাড়া আমাদের সামনে আর কোন পথ খোলা নেই।  আসুন, সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষার্থে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলি।

জাগ্রত চেতনার কোন মৃত্যু নেই। আমাদের সংগ্রাম একদিন জয়যুক্ত হবেই হবে।

(বি:দ্র: লেখাটি নান্যাচর গণহত্যা’৯৩ স্মরণে প্রকাশিত “চিকার” ম্যাগাজিনের তথ্য অবলম্বনে লেখা হয়েছে।)




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন