সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫

বই, দলীয় পতাকা, পোস্টার-লিফলেট-ব্যানার রাখলে কেন অপরাধ হবে?

- নিরন চাকমা

যে কোন সংগঠন পোস্টার, লিফলেটের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে প্রচার-প্রচারণা চালায়, সেগুলো সংরক্ষণ করে রাখে। আর সেই সংগঠনের সমর্থক, শুভাকাঙ্খী কিংবা সাধারণ জনগণও দলিল হিসেবে সেগুলো সংরক্ষণ করে থাকে।

যারা লেখক তাদেরও সেগুলো সংরক্ষণ করতে হয়। কারণ তাদেরকে লেখালেখি করতে হয়, ইতিহাস-রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করতে হয়।

শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫

আগের ফুল বিঝু, এখনকার ফুল বিঝু

- নিরন চাকমা

ভাদজরা ফুল
ভোরে ফুল তোলা, ফুল দিয়ে ঘর সাজানো, গৃহপালিত পশুদের (গরু, ছাগল, মহিষ...) ফুলের মালা পরিয়ে সাজিয়ে দেওয়া, গঙ্গাদেবীর উদ্দেশ্যে গাঙ/ছড়ার পাড়ে ফুল দেওয়া/ফুল নিবেদন করে নতুন দিনগুলোর সুখ-শান্তি কামনা করা (আজকাল বুদ্ধমূর্তিতেও ফুল দিয়ে একই প্রার্থনা করা হয়) এরপর গোসল করে পরিশুদ্ধ হয়ে বাড়িতে ফিরে আসা--এটাই হচ্ছে ফুল বিঝুর মাহাত্ম্য। এছাড়া বাড়িতে বা পাড়ায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধা থাকলে ছড়া থেকে পানি নিয়ে এসে তাদেরকে গোসল করানো হতো। আর অনেকে ফুলবিঝুর দিনেই নানা রকম শাক-সবজি/তরিতরকারি সংগ্রহে বনে-জঙ্গলে যেতেন (এখন তো সবকিছু কিনতে পাওয়া যায়) এবং পরদিন অর্থাৎ মূল/মুর বিঝুতে পরিবেশনের জন্য সেসব সবজির মিশ্রণে পাজন রান্না করা হতো।

শুক্রবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৫

উৎসবের আমেজে যেন সবকিছু ভুলে না যাই

- নিরন চাকমা

গত বছর ১৯-২০ সেপ্টেম্বর দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি সদর ও রাঙামাটিতে পাহাড়িদের ওপর সংঘটিত সাম্প্রদায়িক হামলার ক্ষত ভুলিয়ে রাখতে পার্বত্য চট্টগ্রামে এবারে সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশ উৎসব পালনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার চাচ্ছে। ইতোমধ্যে যেভাবে মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছে কিংবা মেলা-অনুষ্ঠান শুরু হতে যাচ্ছে তা দেখে মনে হচ্ছে সরকার অনেকটা সফল হতে চলেছে।

পাহাড়ে সকল সহিংসতার জন্য কথিত “চাঁদাবাজি’কে দোষারোপ ফ্যাসিবাদী দৃষ্টিভঙ্গিরই প্রতিফলন

- নিরন চাকমা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী 
অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী পাহাড়ে সকল সহিংসতার জন্য কথিত “চাঁদাবাজি’কে দোষারোপ করেছেন। এটা তার ফ্যাসিবাদী দৃষ্টিভঙ্গিরই সুস্পষ্ট প্রতিফলন। অতীতের ফ্যাসিস্টরাও একই সুরে কথা বলেছিলেন এবং পাহাাড়ে পাহাড়ি জনগণের ওপর অন্যায় দমন-পীড়ন চালিয়েছিলেন।