- নিরন চাকমা
যে কোন সংগঠন পোস্টার, লিফলেটের মাধ্যমে গণতান্ত্রিকভাবে প্রচার-প্রচারণা চালায়, সেগুলো সংরক্ষণ করে রাখে। আর সেই সংগঠনের সমর্থক, শুভাকাঙ্খী কিংবা সাধারণ জনগণও দলিল হিসেবে সেগুলো সংরক্ষণ করে থাকে।
যারা লেখক তাদেরও সেগুলো সংরক্ষণ করতে হয়। কারণ তাদেরকে লেখালেখি করতে হয়, ইতিহাস-রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করতে হয়।
সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিঙে ব্যানার-প্ল্যাকার্ড, পোস্টার তো খুবই প্রয়োজনীয় জিনিস। এসবই হচ্ছে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের উপাদান।
আর দলীয় পতাকাতো বাংলাদেশের প্রত্যেক দল-সংগঠনের রয়েছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কিংবা মিছিল-মিটিঙে সেগুলো ব্যবহার করে থাকে।
বই-পুস্তকও তো এখন প্রত্যেকের ঘরে ঘরে পাওয়া যায়, ছোটখাটো লাইব্রেরি করে থাকে। এসব “উদ্ধার” করে সেনাবাহিনী কি কৃতিত্ব দেখাতে চায়? ইউপিডিএফতো সেগুলো এমনিতেই বিলি-বিক্রি করে থাকে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সময় ইউপিডিএফ নানা স্থানে দলীয় পতাকা টাঙিয়ে দেয়। রঙিন পতাকা দিয়ে সাজসজ্জা করে। সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে সেসব প্রচার করে থাকে। তাহলে মিডিয়া কেন এসব জিনিসপত্র রাখাকে "সন্ত্রাসী" কাজ বলে অপপ্রচার চালাবে?
ইউপিডিএফ একটি গণতান্ত্রিক দল, কোন নিষিদ্ধ দল নয়। গঠনলগ্ন থেকে দলটি গণতান্ত্রিকভাবে তার সাংগঠনিক কাজ করে যাচ্ছে। চার চার বার জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী দিয়ে অংশগ্রহণ করেছে। কারো বাড়িতে ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনের পোস্টার, লিফলেট, বইপত্র, কাপড়-চোপড় রাখা কেন অপরাধ হবে? এসব কি নিষিদ্ধ কোন জিনিস?
মূল কথা হচ্ছে- আগামী
নির্বাচনকে সামনে রেখে ফ্যাসিস্ট চক্র ও তাদের দোসররা মিলিতভাবে ইউপিডিএফের
ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। দীর্ঘ ২৭ বছর ধরেই তো ইউপিডিএফের
বিরুদ্ধে এ ধরনের ষড়যন্ত্র করে আসছে তারা। এ যাবত সাড়ে তিন শতাধিক নেতা-কর্মী,
সমর্থকে হত্যা করা হযেছে। কিন্তু কোন ষড়যন্ত্রই ইউপিডিএফের ন্যায্য আন্দোলন দমিয়ে
রাখতে পারেনি।
২১.০৪.২০২৫
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন