- নিরন চাকমা
গত বছর ১৯-২০ সেপ্টেম্বর দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি সদর ও রাঙামাটিতে পাহাড়িদের ওপর সংঘটিত সাম্প্রদায়িক হামলার ক্ষত ভুলিয়ে রাখতে পার্বত্য চট্টগ্রামে এবারে সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশ উৎসব পালনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার চাচ্ছে। ইতোমধ্যে যেভাবে মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছে কিংবা মেলা-অনুষ্ঠান শুরু হতে যাচ্ছে তা দেখে মনে হচ্ছে সরকার অনেকটা সফল হতে চলেছে।
গত বছর নতুন দায়িত্ব নেয়া অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় ক্ষত তৈরি হয়েছিল ভিক্ষুদের কঠিন চীবর দান উৎসব বর্জন। এটা মাথায় রেখেই এবারের উৎসবের জন্য সরকার তার কৌশল ঠিক করেছে--সেটা বুঝা যাচ্ছে।
মনে রাখতে হবে, শাসকগোষ্ঠি চায় আমরা যেন আনন্দ স্ফুর্তিতে মশগুল থাকি। অস্তিত্ব রক্ষা ও অধিকারের জন্য আমরা যেন কথা না বলি। অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে যেন প্রতিবাদ না করি।
তাই, যতই আনন্দস্ফুর্তিতে উৎসব পালন করি না কেন, আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে পার্বত্য চট্টগ্রাম একটি নিপীড়িত অঞ্চল। বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫৪ বছর ধরে এ অঞ্চলের পাহাড়ি জনগণ স্বৈরশাসনের কবলে রয়েছে। পাহাড়িদের বুকের ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে আছে এ শাসন।
কাজেই, উৎসবের আমেজে যেন সবকিছু ভুলে না যাই।
০৪.০৪.২০২৫
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন