আজ ২
অক্টোবর ইউপিডিএফ-এর কেন্দ্রীয় নেতা শহীদ রুইখই মারমার ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৯
সালের এই দিনে লক্ষীছড়ি উপজেলার বর্মাছড়ি ইউনিয়নের বটতলী নামক স্থানে সেনা-সন্তু
মদদপুষ্ট দুর্বৃত্তদের সশস্ত্র হামলায় রুইখই মারমা শহীদ হন।
রুইখই
মারমা একজন আগাগোড়া সংগ্রামী ব্যক্তিত্বের নাম্। তিনি ভাগ্য বিড়ম্বিত,
লাঞ্ছিত-বঞ্চিত ও অধিকারহারা জনগণের অধিকার ও আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে
কাজ করে গেছেন। জনগণের ওপর সেনা নির্যাতন, ভূমি বেদখল প্রতিরোধের ক্ষেত্রে তার
রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। সে সময় লক্ষ্মীছড়ি, মানিকছড়ি ও রামগড়ে সেনা-উস্কানিতে
ভূমি বেদখলের মহোৎসব শুরু হলে তার
বিরুদ্ধে জনগণকে সংগঠিত করে সক্রিয় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করেছিলেন। তার সুদক্ষ নেতৃত্বের কারণেই সেনাবাহিনী ও তাদের চর-এজেন্টর একের পর
এক ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের জাল ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। এক কথায় রুইখই মারমা অপরিসীম
দায়িত্বশীলতার সাথে এলাকার জনগণের স্বার্থের পাহারা দিয়েছিলেন। যার কারণেই তাকে হত্যা
করা হয়।
রুইখই
মারমাকে শারিরীকভাবে হত্যা করা গেলেও নিপীড়িত জনগণের মুক্তির যে স্বপ্ন তিনি দেখে
গেছেন সেই স্বপ্নের কোন মৃত্যু নেই। যে আকাঙ্খা বুকে ধারণ করে তিনি আজীবন সংগ্রাম
করে গেছেন, সে আকাঙ্খা চিরঞ্জীব- - শত সহস্র মানুষের মিলিত সংগ্রামী চেতনার প্রতিধ্বনি।
শহীদ
রুইখই মারমা তোমায় লাল সালাম!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন